Teachers

Name Will be added

এম এ কালাম অধ্যক্ষ  গুলশান কমার্স কলেজ                           

                                অধ্যক্ষের বাণী

 

                                     অধ্যক্ষ

                           গুলশান কমার্স কলেজ

 

সত্য,সুন্দর ও কল্যাণের পথে পরিচালিত হওয়ার জন্য প্রয়োজন সুশিক্ষা।শিক্ষা অর্জন একটি চলমান প্রক্রিয়া ও সময় সাপেক্ষ বিষয়।সামাজিক মিথস্ক্রিয়ায় মানুষ তার পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জনের নেপথ্যে এর উপযোগের বিষয়টি বিবেচিত।প্রতিযোগিতায় নিজকে যোগ্য,দক্ষ ও প্রজ্ঞাবান হিসেবে প্রমাণ করার ইতিবাচক প্রবণতা বর্তমানে লক্ষণীয়।বিশ্বায়নের এ যুগে বিশেষজ্ঞদের কদর সর্বত্র। সীমানাবিহীন বাজার ব্যবস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যকে ছড়িয়ে দেয়ার নামই হলো বিশ্বায়ন।করোনাজয়ী নতুন এই বিশ্বে তাই ব্যবসায় শিক্ষায় ডিগ্রী অর্জনই হবে তরুণ প্রজন্মের প্রথম পছন্দ।শুধু চাকুরি নয়; উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে হলেও ব্যবসায় শিক্ষা জ্ঞান অর্জনের কোন বিকল্প নেই।সময়ের দাবি মেটানোর তাগিদে বিশেষায়িত কলেজ হিসেবে গুলশান কমার্স কলেজ দেশের মানব সম্পদ উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলছে।

২০০৮ সালে প্রথমবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ১০০% পাশসহ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের মেধা তালিকায় ৬ষ্ঠ স্থান অর্জন ।অত্র কলেজে যতজন শিক্ষার্থী এসএসসি জিপিএ-৫ নিয়ে ভর্তি হয় তার কয়েকগুণ শিক্ষার্থী এইচএসসি তে জিপিএ-৫ পায়।২০১৯ সালেও জিপিএ বৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত ছিল।২০১৭ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে সর্ব্বোচ্চ নম্বর পেয়ে মেয়েদের মেধা তালিকায় ১ম স্থান অর্জন করে গুলশান কমার্স কলেজের ছাত্রী। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মেধাবী শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অপরাপর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অর্জিত এসব সাফল্য আমাদের চলার গতিকে আরো বেগবান করবে;ইনশাল্লাহ।

করোনা মহামারী আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিলো।প্রায় স্থবির হয়ে যাওয়া শিক্ষা ব্যবস্থা পুনরায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে।কিন্তু শিক্ষাদান ও শিক্ষা গ্রহনের ক্ষেত্রে New Normal Education System ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। ক্লাশরুম ভিত্তিক শিক্ষা প্রদান এখম অনলাইন বা ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে রূপান্তরিত হয়েছে।পরিবর্তিত এই পদ্ধতির সাথে মানিয়ে চলাই শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জ।গুলশান কমার্স কলেজ নতুন এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইতোমধ্যে সফলতার পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছে।ভবিষ্যতে ডিজিটাল ডিভাইসকে কাজে লাগিয়ে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অফলাইন ও অনলাইন উভয় পদ্ধতিতে সময়োপযোগী শিক্ষা প্রদানে আমরা কাজ করার প্রত্যাশা রাখি।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে অভিভাবক,শিক্ষাবিদ,সমাজকর্মী,সাংবাদিক,পেশাজীবিসহসমাজের বিভিন্ন স্তরের অসংখ্য গুণগ্রাহীর পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা আমাদের চলার পথকে করছে সুগম ও গতিশীল।পেশাদারিত্বে আপোষহীন,নিবেদিত প্রাণ শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ কলেজটির উৎকর্ষ সাধনে তাঁদের মেধা ও শ্রম বিনিয়োগ করে চলছে।কলেজটির পরিচালনা পর্ষদ অত্যন্ত দক্ষতা ও বিচক্ষণতার সাথে প্রশাসনিক ও একাডেমিক বিষয়ে মনিটরিং করছেন।উদ্দীপণামূলক  প্রেষণার মাধ্যমে নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ,মূল্যায়ন পরীক্ষা, পাঠোন্নতি সম্পর্কে অভিভাবককে অবহিতকরণ,ঝরে পড়া রোধসহ অসংখ্য সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশের নিশ্চয়তা বিধানে আমরা বদ্ধপরিকর।

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিববর্ষের এইক্ষণে আমরা স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করছি;স্বরণ করছি মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদদের।আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে গড়ে তুলবো এবং ব্যবসায় শিক্ষার একটি অনুকরণীয় ও আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গুলশান কমার্স কলেজের অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখবো,ইনশা্আল্লাহ।

এম এ কালাম

প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ,গুলশান কমার্স কলেজ